মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
বাংলাবাজার পত্রিকা.কম ২৫০ ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তি, বন্দীরা দিলেন নির্যাতনের বর্ণনা বাংলাবাজার পত্রিকা.কম প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রোমের মেয়রের সাক্ষাৎ বাংলাবাজার পত্রিকা.কম অধ্যক্ষের অনুরোধে সায়েন্সল্যাব থেকে সরে গেলেন শিক্ষার্থীরা বাংলাবাজার পত্রিকা.কম ২০ বছর পর ঢাকায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক বৈঠক বাংলাবাজার পত্রিকা.কম দলিল লেখকের কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, দুদকের মামলা বাংলাবাজার পত্রিকা.কম ‘হয়রানি নিরসনে জামিননামা অনলাইনে, আদেশ চলে যাবে কারাগারে’ বাংলাবাজার পত্রিকা.কম ফের সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের বাংলাবাজার পত্রিকা.কম ট্রাম্পসহ বিভিন্ন দেশের নেতাদের গাজা যুদ্ধবিরতির নথিতে স্বাক্ষর বাংলাবাজার পত্রিকা.কম কর্মবিরতির মধ্যেই শিক্ষকদের ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি আজ বাংলাবাজার পত্রিকা.কম ১৬ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে প্রথম সুষ্ঠু নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় নির্বাচনে সরকার, বিরোধী ও বিদেশীদের ভূমিকা

জাতীয় নির্বাচনে সরকার, বিরোধী ও বিদেশীদের ভূমিকা

এসকে মজিদ মুকুল

আসন্ন ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশে দুটি পক্ষ হয়েছে। সরকার ও সরকারি দলসহ ‘গাছেরটাও খাবে নীচেরটাও খাবে’-এমন দলগুলো নিয়ে একটি পক্ষ। অর্থাৎ সরকারপক্ষ বা ১ম পক্ষ। জনগণের ঘাড়ে চাপা দ্রব্যমূল্য, মূল্যস্ফীতি ও ডলার সংকট ইত্যাদি সংকট ভিত্তিক কর্মসূচি নিয়ে এক তরফা নির্বাচনের পরিকল্পনা নস্যাতে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ-সুষ্ঠ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে জনসম্পৃক্ত পক্ষই আরেকটি পক্ষ অর্থাৎ বিরোধী পক্ষ।

এখানে এভাবেও উল্লেখ্য, দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন উর্ধ্বগতিতে পাগলা ঘোড়ার পায়ের তলায় পিষ্ট নিরীহ নির্জীব সাধারণ মানুষের দ্রব্যমূল্যসহ নানা সংকটে সংকটাপন্ন পরিস্থিতি তুলে ধরে আন্দোলনকারীরা রাজনৈতিক অঙ্গণের প্রধান বিরোধীদল বিএনপিসহ একই দাবীতে অনড় বিভিন্ন দল ও জোট অর্থাৎ বিরোধী পক্ষ।

এখানে উল্লেখ্য, সরকার পক্ষ বলতে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টি (জাপা) সহ নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী দল-জোট ও ব্যক্তি এবং নির্বাচন কমিশন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা-প্রশাসন অর্থাৎ সরকার পক্ষ। সবাই মিলে একতরফা নির্বাচনে অনুষ্ঠিত করতে বাংলাদেশের সংবিধানকে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করছে। দেশে যেমন দুটি পক্ষ তেমনি বিদেশীরা দু’পক্ষে বিভক্ত। এক পক্ষে পরাশক্তি রাশিয়া ও ভারত এবং আরেক পক্ষে পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাঁর মিত্র শক্তিসমূহ মিলে আরেকটি পক্ষ। পরাশক্তি চীন ‘গাছেরটাও খাবে নীচেরটাও খাবে’ নীতিতে।

লেখাটি মুদ্রিত হওয়ার জন্য সম্পাদনা বিভাগের নির্বাচন হয়ে মুদ্রিত হতে হতে তফসিল পরিবর্তন হলে হতেও পারে। তবে পরিবর্তন হলেও মার্কিন যে সব পদক্ষেপ নিতে পারে, তা পরিবর্তনের সম্ভাবনা ক্ষীন। সেহেতু পরিবর্তন হলেই কি বিরোধীদলের দাবি মতে হাসিনা সরকার অর্থাৎ আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করে নির্বাচন দিবে তার সম্ভাবনা শতকরা ১ ভাগ। সেখানেও যেহেতু বর্তমান আমলা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকতারাই প্রাধান্যে থাকবেন এবং দ্রব্যমূল্যসহ জনগণের সংকট দূর হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা ১ ভাগেরও কম। তাই আলোচিতব্য মতামত সম্বলিত লেখাটি পাঠকের চিন্তাচেতনায় বিন্দুমাত্র সহায়ক হলে বাধিত হবো। এবার আসি সামনের সাধারণ নির্বাচন নিয়ে সরকার পক্ষ ও বিরোধী দল এবং বিদেশীদের ভূমিকা বিষয়ক মূল আলোচনায়।

গণতন্ত্রের রীতি অনুযায়ী আলোচনার মাধ্যমে সকল দলের অংশগ্রহনমূলক অবাধ-সুষ্ঠ-নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগাগোড়াই দিয়ে আসছিল। কিন্তু সময়ের দোহাই দিয়ে সর্বশেষ শর্তহীন আলোচনার প্রস্তাব উপেক্ষা করে সরকার। সংবিধানের বাধ্যবাধকতার দোহাই দিয়ে নির্বাচন কমিশন ৭ জানুয়ারী ২০২৩ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।

রাজনৈতিক অঙ্গণের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ একই দাবিতে আন্দোলনরত দল ও জোট ঘোষিত তফসিল প্রত্যাখ্যান করে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ বা তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠ-নিরপেক্ষ ও সকল দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবীতে আন্দোলন অব্যাহত গতিতে এগিয়ে নিচ্ছে। মার্কিন গণতন্ত্রের স্বার্থে তাদের প্রস্তাবে অনড়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা বিশ্ব অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘও বিরোধী দলের উপর দমনপীড়ন চালানো এবং শ্রমিকদের উপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ফলে নানা বিষয়ে অবরোধ (নিষেধাজ্ঞা-স্যাংশন) দেয়ার পরিস্থিতি বিদ্যমান। সবদিক থেকে দেশ ও জনগণ সংকট থেকে মহাসংকটে পড়তে যাচ্ছেন। রাশিয়া সাম্রাজ্যবাদ, মার্কিন ভূমিকাকে হস্তক্ষেপ অ্যাখ্যায়িত করছে। চীন স্পষ্ট কোন মতামত না দিলেও বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাক-এটা তাদের স্বার্থেই চান।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনগণ দু’ভাগে বিভক্ত হওয়ায় এবং সরকার পক্ষের ভূমিকায় মার্কিনকে প্রতিপক্ষ হিসেবে চিহ্নিত করায় দেশের বর্তমান পরিস্থিতি উত্তপ্ত। বলতে দ্বিধা নেই যে, গণতন্ত্রের পক্ষ হয়ে অবাধ সুষ্ঠ-নিরপেক্ষ ও সকলের অংশগ্রহণমুলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার বক্তব্যের জন্যই কি মার্কিনের বিরুদ্ধাচরণ সরকারের নাকি মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বলেই তার বিরোধিতা-প্রশ্নটি সামনে এসেছে।

অপরদিকে, রাজনৈতিক অঙ্গনের প্রধান বিরোধী দলসহ (বিএনপি) সমমনা দলগুলো দীর্ঘ সময়ের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বর্তমানে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালিন বা তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ-সুষ্ঠ-নিরপেক্ষ-অংশগ্রহনমুলক নির্বাচনের দাবির সাথে মার্কিনের বক্তব্য মিলে যাওয়ায় এবং মার্কিন তাদের বক্তব্য থেকে সরে না যাওয়ায়, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো আন্দোলনকারীদের সমর্থন ধরে নিয়ে’ বিরোধী দলগুলো এগিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে সরকার পক্ষ মার্কিনকে নিভৃত করতে (দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রীসহ অর্থাৎ সরকারের উচ্চ মহলের দাবি ভারত ঠিক থাকলে তারা ক্ষমতায় থাকবেন এবং ভারতকে দিয়ে তলে তলে মার্কিনকে ঠিক করে ফেলেছেন ইত্যাদির বাস্তবতা প্রমাণ করতে পারেননি) ব্যর্থ হয়ে চীন-রাশিয়ার বিশাল অংকের অর্থের বিনিয়োগে এবং ভারতের মৌলবাদী বিজিপি সরকারের চাওয়া বা না চাওয়া নয়, বিশ্বাস থেকে পক্ষপাত ধরে নিয়ে মার্কিনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করার মতই ভূমিকা নেয়ায় সৃষ্ট পরিস্থিতি নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ স্বল্প বিদ্যাবুদ্ধি হলেও আগাগোড়াই বলে আসছি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎশক্তি সমূহ সরাসরি কোন দেশে আক্রমণ ও দখলকে গৌণ করে দালাল সরকার গঠন করে এক বিশ্ব অর্থনীতির আওতায় আধিপত্য বিস্তার ও বাজার দখলে নিতে আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্বে লিপ্ত। সাম্রাজ্যবাদী পুঁজিবাদী বিশ্বের প্রধান অংশ মার্কিন নেতৃত্বাধীন।

অপরদিকে, চীন রাশিয়ায় গণতন্ত্র ও সামজতন্ত্র কোনটাই নেই। চীন ও রাশিয়ার মধ্যে পুঁজি নির্ভর আধিপত্য বিস্তারে বেশি উৎসাহী হয়ে উঠেছে চীন। রাশিয়া সাম্রাজ্যবাদ তার আধিপত্য বিস্তারের প্রয়োজনে ইউক্রেনে হামলা করেছে। ফলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। তার পক্ষে মার্কিনের নীতিগত-ভূরাজনীতিগত কারণে ইউক্রেনকে সহযোগীতা করছে। আবার নীরবে অনেকটা পিছিয়েও গেছে। চীন-রাশিয়া আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকলেও এ মূহুর্তে দ্বন্দ্ব ক্ষীন, বন্ধুত্ব গাঢ়।

ভূরাজনীতিগত দিক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনসহ সবারই প্রয়োজন বাংলাদেশ। সেই প্রয়োজনের দিক থেকে সকল দেশের সাথে বন্ধুত্ব থাকবে বাংলাদেশের। কিন্তু একক কর্তৃত্ব কাউকে কেউ মেনে নিবে না।

উপরুন্ত ভারতের যতটা প্রয়োজন মার্কিনের, ততটা প্রয়োজন নেই ‘ভারতকে’ (বিশেষত: মৌলবাদী সরকারকে) মার্কিনের। উপরন্তু ভারত বাংলাদেশেকে তাঁবেদার রাষ্ট্র করুক-তা চায় না চীনও।

এ নিয়ে এক্ষনে আর আলোচনা নয়; আলোচনা উপরোক্ত আলোচনা থেকে উত্থাপিত চীন-রাশিয়া ও ভারতের ঋণ ও বিনিয়োগের অর্থ কি মার্কিনকে মোকাবিলায় যথেষ্ট (?) এ প্রশ্নটি নিয়ে। মোকাবিলা বলতে যুদ্ধ নয়। যদি মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বা স্যাংশন অথবা অবরোধ দেয়ার মতো পদক্ষেপ নেয়, তাহলে তাতে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে সেটা মোকাবিলা সম্ভব হবে কি-না সংক্ষিপ্তভাবে হলেও উদাহরণ আকারে আলোচ্য।

কথায় আছে ‘জ্ঞানীর জন্য ইশারাই কাফি’। জ্ঞানী-গুণী পাঠকদের বিবেচনার জন্য নয়, যে চিন্তাচেতনায় দেশের নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে ভাবছেন, তার বিন্দুমাত্র সহায়ক হলে পাঠকদের প্রতি বাধিত হবো। তবে এটুকু লেখা যেহেতু যথেষ্ট নয়, এটাকে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরতে পাঠকদের সহযোগীতা কামনা করেই আরেকটি প্রচলিত প্রবাদ ন্যায় কথা তুলে ধরে আলোচনায় যাচ্ছি। কথায় আছে, ‘হাড়ির একটি ভাত টিপলেই বোঝা যায় ভাত হয়েছে কি-না’। 

সম্মানিত পাঠক, এবার হাড়ির ভাত সিদ্ধ হয়েছে কি-না তা বুঝার জন্য যে কথাটি বলতে চেয়েছি সেটি বলে নেয়া যাক। ধরে নেই বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজারে পাঁচ সদস্যের পরিবারে ভাত পাক করে খেতে বসার সময় বিশেষ পরিস্থিতিজনিত কারণে ৫ জন আত্মীয় এসে হাজির। তখন যে অবস্থা হবে এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পড়েছিল মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পৈশাচিক-বর্বর নির্যাতনের হাত থেকে জীবন রক্ষায় আগত রোহিঙ্গাদের জন্য যাদের মোট সংখ্যা প্রায় দশ লাখ। তাদের থাকার জায়গা দিতে পারলেও এভাবে বছরের পর বছর প্রতিপালন করা মানবিক দায়িত্ব হলেও মানবিকতায়ও ভরণ-পোষণের জন্য সামর্থ থাকতে হয়, নয়তো করা যায় না। এমন পরিস্থিতিতে দুটো বিষয় পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো।

প্রথমত : মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে বর্বরোচিত গণহত্যা বন্ধ করতে জাতিসংঘ আহ্বান জানায়। যখন প্রতিরোধযোদ্ধাদের প্রতিহত করতে গ্রামের পর গ্রাম বাড়ীঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিতে থাকে এবং গণহত্যা বাড়িয়ে দেয়। এ পরিস্থিতিতে ২০১৭ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় দপ্তর-ওসিএইচএ (ওচা) রোহিঙ্গাদের জন্য ৬০০ কোটি ডলারের মতো জরুরি সহায়তার আহ্বান জানায়। চাহিদার মধ্যে পাওয়া অর্থের হার ৬৩.৬ শতাংশেরও কম।

তন্মধ্যে আদায় হওয়া অর্থের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে দিয়েছে ১৬১ কোটি ডলার (২৭ শতাংশের  মতো)। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঞ্চের প্রদত্ত বিবৃতিতে এ পর্যন্ত তাদের সহায়তার পরিমাণ ২১০ কোটি ডলার। ২০২০ সালে চাহিদার ৫৯.৬ শতাংশ দিয়েছে যুক্ত্ররাষ্ট্র। যুক্তরাজ্য ৪১ কোটি ৭০ লাখ ডলার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২৬ কোটি ডলার।

অস্ট্রেলিয়া দান করে ২৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার। জাপান ১৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার। সংস্থাটির (ওচার) হিসাব মতে তাদের সাতবারের সহায়তার আহ্বানে রাশিয়া ২০১৮ ও ২০১৯ সালে দিয়েছে ১০ লাখ ডলার করে মোট ২০ লাখ ডলার। ভারতের আর্থিক সহায়তার রেকর্ড ওচার পরিসংখ্যানে নেই।

দ্বিতীত: সুইডেনের ইকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সস্টিটিউট (সিপরি) তাদের কার্যক্রমের আওতায় ২০২৩ সালের মার্চে প্রকাশিত ট্রেন্ডস ইন ইন্টারন্যাশনাল আর্মস ট্রান্সফার ২০২২ প্রতিবেদন সূত্রে (গণমাধ্যমে প্রকাশিত) প্রকাশ, মিয়ানমারের জান্তা সরকারের আমদানিকৃত অস্ত্র ৪২ শতাংশ রাশিয়া, ২৯ শতাংশ চীন ও ১৪ শতাংশ ভারত থেকে হয়েছে। সব অস্ত্রই মিয়ানমারবাসীর ওপর প্রয়োগ হচ্ছে।

উল্লেখিত পরিসংখ্যান বলছে বাংলাদেশে নানা সংকট সত্বেও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার পাশাপাশি সম্ভাব্য অর্থ খরচ করেছে বাংলাদেশ। সেখানে প্রতিবেশি ভারতের সম্ভব হয়নি সাহয়তা করা। অথচ পদ্মা-তিস্তার মতো আন্তর্জাতিক নদীর পানি লুটে নিচ্ছে ভারত। সরকারের মদদাতা হিসেবে এক তরফা সুযোগ নিচ্ছে, মুনাফা লুুটছে ও ভারতীয়দের এ দেশে চাকুরীতে দিয়ে দেশের শিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত কর্মক্ষম যুবব্যক্তিকে চাকুরি না দিয়ে ভারতীয়দের লাখ লাখ চাকুরেদের বেতনভাতা দিচ্ছে বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রায়। ইত্যাদি নানা কারণে রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের চাওয়া নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বললেও এবং ক্ষমতাসীনদের পক্ষে ২০১৪ ও ২০১৮ এর মতো ভূমিকা না নিলেও বর্তমান সরকার পুনঃনির্বাচিত হোক- বিজিপির একটা অংশ চাইবে এটাই স্বাভাবিক।

এদিকে দেশের সচেতন ও দেশপ্রেমিক গণতন্ত্রকামীরা ভাবছেন যে, রাশিয়া ও চীনেতো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়, সমাজতান্ত্রিকতো নয়ই। সেজন্য তাদের স্বার্থ রক্ষায় পরীক্ষিত সরকারকে পুনরায় চাইতেই পারে। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোকে পাশ কাটিয়ে চলাটা সহজ হবেন না।

বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও কলামিস্ট

ই-মেইল: mamukul71sm@gmail.com

সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ