মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫

ভাইরাল জ্বর হলে যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন

ভাইরাল জ্বর হলে যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন

আবহাওয়ার পরিবর্তনে অনেকেই ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই জ্বরে কাবু বেশিরভাগ মানুষ। জ্বরের কারণে শরীরের অবস্থা নাজেহাল। তাই শরীরকে সুস্থ করে তুলতে গেলে খাওয়া-দাওয়ায় রাখতে হবে বাড়তি নজর।

ভাইরাল জ্বর কী?

ভাইরাল ফিভার বা ভাইরাল জ্বর বছরের যে কোনো সময়ে হতে পারে। ভাইরাল ফিভার ভাইরাস জীবাণুর সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। জ্বরের শুরুতে এর প্রকৃতি বোঝা না গেলেও পরীক্ষার মাধ্যমে ভাইরাল ফিভার চিহ্নিত করা সম্ভব। সাধারণত, ভাইরাল জ্বরের লক্ষণ তীব্র হয় এবং সাধারণত ঋতু পরিবর্তনের সময় ঘটে বেশিরভাগ ভাইরাল সংক্রমণের ক্ষেত্রে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এমনিতেই ভালো হয়ে যায়।

জ্বরের লক্ষণ

ভাইরাল জ্বরের লক্ষণ হলো হাঁচি, কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, সারা শরীরে ও হাতে-পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করা, প্রচণ্ড মাথাব্যথা করা, খাবারে অরুচি, বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া ইত্যাদি। একই সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রাও বাড়তে থাকে। অতিরিক্ত জ্বরের কারণে কখনো কখনো খিঁচুনি হতে পারে।

জ্বরে আক্রান্ত রোগীর শরীর বেশ দুর্বল থাকে। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। তাই জ্বরে আক্রান্ত রোগীর জন্য প্রয়োজন পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য খাবার। কিছু খাবার এই সময় এড়িয়ে চলতে হবে। আসুন দেখে নেওয়া যাক এমন অবস্থায় কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন-

মিষ্টিজাতীয় খাবার

ক্যান্ডি, পেস্ট্রির মতো খাবার জ্বরের মধ্যে না খাওয়াই ভালো। এই জাতীয় খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিতে পারে। শরীরের পক্ষে ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করা কঠিন করে তোলে। এসব খাবার সংক্রমণকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।

অতিরিক্ত ভাজা এবং চর্বিযুক্ত খাবার

ভাজা খাবার, স্ন্যাকস এবং চর্বিযুক্ত ফাস্ট ফুড কমিয়ে আনতে হবে। এই খাবারগুলোতে অস্বাস্থ্যকর থাকে এবং এটি হজমের সমস্যা এবং অস্বস্তির কারণ হতে পারে।

মসলাদার খাবার

মসলাযুক্ত খাবার খেলে গলা জ্বালাপোড়া করতে পারে, কাশি এবং ব্যথা বাড়িয়ে তুলতে পারে। ভাইরাল জ্বরের সময় মরিচ, মসলাদার খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

দুগ্ধজাত পণ্য

দুগ্ধজাত দ্রব্য, যেমন-দুধ, পনির এবং দই না খাওয়াই ভালো। অসুস্থতার সময় দুগ্ধজাত খাবার সীমিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

ক্যাফেনযুক্ত এবং অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়

কফি, চা, এনার্জি ড্রিংকস এবং অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়ের মতো পানীয়গুলো এড়ানো উচিত। কারণ শরীরকে ডিহাইড্রেট করতে পারে এবং নিরাময় প্রক্রিয়াতে বাধা দিতে পারে।

কোমল পানীয়

জ্বরের সময় অনেকে কোমল পানীয় খেয়ে থাকে। কার্বোনেটেড ড্রিংক শরীরের জন্য একদমই ভালো নয়। এতে প্রচুর পরিমাণে চিনি এবং প্রিজারভেটিভ মেশানো থাকে। তাই কোমল পানীয় খেলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যার দেখা দিতে পারে। তাই জ্বর এলে কোমল পানীয় না খেয়ে ডাবের পানি খেতে পারেন।

রেড মিট

জ্বর হলে হজমশক্তির উপরও প্রভাব পড়ে। তাই এই সময় রেড মিট খাওয়াতে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। মাটন কিংবা গরুর মাংস খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। জ্বরের মধ্যে এই খাবারগুলো হজমে গোলমাল করবে। এতে শরীর আরও খারাপ হতে পারে। তাই এসব খাবার থেকে বিরত থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ