❏ উপকূলে কোস্টগার্ড মোতায়েন
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানীসহ সারা দেশে ১ হাজার ১৫১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার বিজিবি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার এর আওতায় বিজিবি নামানো হয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর থেকে আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশের সব নির্বাচনি এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।
এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৪ অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সারাদেশে মোতায়েন করা হয়েছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, র্যাব ফোর্সেস শুক্রবার ২৯ ডিসেম্বর থেকে আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সকল নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করবে।
এতে বলা হয়, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে দেশের নিরাপত্তায় অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে র্যাব ফোর্সেস যেসব দায়িত্ব পালন করবে- সেগুলো হচ্ছে- নির্বাচনী এলাকায় সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবে,আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা প্রদান করবে। এ ছাড়াও ভোটকেন্দ্র ও ভোট গণনার ক্ষেত্রে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্ব পালন করবে, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রতিটি আসনে কমপক্ষে দুটি টহল দল মোতায়েন ও প্রতিটি ব্যাটালিয়নে দুটি টহল স্ট্রাইকিং ফোর্স রিজার্ভ থাকবে, র্যাব সদর দফতরে ১৫টি টহল দল সেন্ট্রাল রিজার্ভ হিসেবে প্রস্তুত থাকবে এবং দেশব্যাপী ২৫টি অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। এ ছাড়া অন্যান্য অঞ্চলে মোতায়েনের জন্য ৫০টি টহল দল প্রস্তুতসহ দেশব্যাপী ৭০০টির অধিক টহল দল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবে, গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং নিজস্ব সুইপিং ও বোম্ব ডিসপোজাল টিম প্রস্তুত থাকবে। এ ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে হেলিকপ্টার ও ডগ স্কোয়াড নিয়োগ করা হবে।
অগ্রগণ্যতার ভিত্তিতে ঝুঁকিপূর্ণ/গুরুত্বপূর্ণ আসন বিবেচনায় মোতায়েনের জন্য বিভিন্ন ব্যাটালিয়ন থেকে টহলসমূহ গুরুত্বপূর্ণ/ঝুঁকিপূর্ণ আসন বিবেচনায় মোতায়েনের জন্য সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে, বিশেষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য র্যাব ফোর্সেস সদর দফতরের স্পেশাল ফোর্স সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে, র্যাব ফোর্সেস সদর দফতরের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সাতটি জোনে বিভক্ত হয়ে মোতায়েনের জন্য সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে, র্যাব ডগ স্কোয়াডের ১০টি দল র্যাব ফোর্সেস সদর দফতরে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে। এ ছাড়া দেশব্যাপী বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশির মাধ্যমে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে,নির্বাচন কমিশনের তথ্য ও গোয়েন্দা সূত্রে ঝুঁকিপূর্ণ আসনসমূহে অধিক টহল নিয়োজিত রাখার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনকালীন শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় দেশের উপকূলীয় এলাকায় কোস্টগার্ড মোতায়েন হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় ও বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার নিমিত্তে উপকূলীয় ৪৩টি ইউনিয়নে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড মোতায়ন করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড নির্বাচন-পূর্ববর্তী, নির্বাচনকালীন এবং নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার নিমিত্তে ‘ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকায় মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।’