আপনার ডায়াবেটিস, থাইরয়েড ও হার্টের রোগ থাকলে ফ্রোজেন শোল্ডারের ঝুঁকি বেশি হয়। কারণ এটি মূলত শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে গেলে কিংবা কোনো আঘাত পেলেও এ রোগ হতে পারে।
আপনি প্রতিদিন অফিসে আট থেকে দশ ঘণ্টা কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করছেন। এ সময় আপনার কাঁধে প্রবল যন্ত্রণা হয়। সেই সমস্যার নাম হচ্ছে ‘ফ্রোজেন শোল্ডার’। মনে হয় যেন কাঁধের পেশিগুলো কেমন যেন শক্ত হয়ে গেছে, কোনোভাবেই নাড়ানো যাচ্ছে না। এই রোগে কাঁধের বল ও সকেট সন্ধি আক্রান্ত হয়। বয়স ৪০ পেরোলেই সমস্যা বেশি করে দেখা দেয়। আর যদি আপনার ফ্রোজেন শোল্ডারের সমস্যা থাকে, তবে কীভাবে এ যন্ত্রণার হাত থেকে রেহাই পাবেন?
চলুন জেনে নেওয়া যাক, যেভাবে ফ্রোজেন শোল্ডারের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন—
১. ‘ফ্রোজেন শোল্ডার’ থেকে রেহাই পেতে আপনার ঘুমের সঙ্গে কোনোরকম আপস কম্প্রোমাইজ করা যাবে না। আর ঘুমানোর সময়ে শোয়ার ধরন ঠিক রাখতে হবে। ভুল ভঙ্গিমায় ঘুমালেই ঘাড়ে ব্যথা বাড়বে। খুব বেশি উঁচু কিংবা শক্ত বালিশ নিয়ে ঘুমাবেন না।
২. অফিসে যখনই ক্লান্ত লাগবে বা কাঁধে যন্ত্রণা হবে, তখন চেয়ারে বসে না থেকে মিনিট দশেকের জন্য বিরতি নিন। ওই সময় হাঁটাহাঁটি করুন। হাতের ব্যায়াম করতে থাকুন।
৩. ‘লং ড্রাইভ’ পছন্দ? তবে ফ্রোজেন শোল্ডার থাকলে একটানা অনেকক্ষণ গাড়ি চালানো মোটেই আপনার জন্য ভালো হবে না। এতে সমস্যা আরও বাড়বে।
৪. যতটা সম্ভব নিজেকে মানসিক চাপমুক্ত রাখুন। মানসিক চাপ, উদ্বেগ, চিন্তা বাড়লেই ঘুম কম হবে, ক্লান্তি থেকে ঘাড়ে ব্যথা হবে।
৫. ‘ফ্রোজ়েন শোল্ডার’ সারাতে ব্যায়াম ছাড়া গতি নেই। রোজ ঘুম থেকে উঠে নিয়ম করে ঘাড়ের হালকা ব্যায়াম করুন। খুব ভালো ফল পাওয়া যায় যোগাসন করলে। মার্জারাসন, সেতুবন্ধাসন, গরুড়াসন, গোমুখাসন ইত্যাদি নিয়মিত অভ্যাস করলে ‘ফ্রোজেন শোল্ডার’-এর সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন।
‘ফ্রোজেন শোল্ডার’-এর ব্যথা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছানোর আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। প্রয়োজনে ফিজিওথেরাপি করাতে হতে পারে। সমস্যা বেশি হলে অস্ত্রোপচারও করতে পারেন চিকিৎসক।