শনিবার, ৪ মে, ২০২৪

জেঁকে বসছে শীত, সারাদেশে দুর্ভোগ

জেঁকে বসছে শীত, সারাদেশে দুর্ভোগ

❏ ১৩ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ, আরও বাড়বে শীত ❏ হাড় কাঁপানো শীতে বিপাকে ছিন্নমূল মানুষেরা

❏ বৃহস্পতি-শুক্রবার বৃষ্টির আভাস

ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে দেশের আকাশ। জেঁকে বসছে শীত, হাড় কাঁপানো শীতে দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষেরা। শনিবার দিনব্যাপী দেশের বিভিন্ন জেলায় রোদের দেখা মেলেনি। কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যান চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার খবরও মিলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে। এছাড়া নওগাঁর বদলগাছীতে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি, সৈয়দপুরে ৯ ডিগ্রি, রাজশাহীতে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি এবং পাবনার ঈশ্বরদীতে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি, আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দেশের ১৩ জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগের ৮ জেলার (রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট) উপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

কয়েকদিন ধরে চলা শীতের তীব্রতার মধ্যে ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে আসতে পারে বৃষ্টি, এমনটাই আভাস দিয়েছেন একজন আবহাওয়াবিদ। শনিবার আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, ১৮-১৯ জানুয়ারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পৌষের শেষে শীতের তীব্রতা বাড়ায় গত কয়েকদিন ধরেই কাঁপছে দেশের বিস্তীর্ণ জনপদ।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানানো হয় পূর্বাভাসে। 

ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে। 

ওমর ফারুক বলেন, আরও দুয়েকদিন কুয়াশা থাকবে তারপর কমবে। আস্তে আস্তে তাপমাত্রা বাড়বে। তবে সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে। 

চলতি মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিল, এ মাসে দেশে এক থেকে দুটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ইতোমধ্যে উত্তরাঞ্চলের কিছু এলাকায় একটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে।

বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে।

সম্পাদক : জোবায়ের আহমেদ নবীন