শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া

সবার জীবনেই কম-বেশি সংকটপূর্ণ মুহুর্ত আসতে পারে। বিপদে ধৈর্য্য ধারণ করাই মুমিনের কাজ

সবার জীবনেই কম-বেশি সংকটপূর্ণ মুহুর্ত আসতে পারে। যদি কখনও বিপদে পড়েন, সেই বিপদ থেকে মুক্তির জন্যে দোয়া পড়তে পারেন।

ভয়াবহ বিপদ ও কষ্টের সময় আকাশের দিকে তাকিয়ে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজের কষ্টের কথা বলা সুন্নত। আর তাতে বিপদ থেকে মুক্ত হওয়া যায়।

আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সা.) এমন আমল করতেন এবং ছোট্ট একটি দোয়া পড়তেন। হাদিসে এসেছে— হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো ভয়াবহ বিপদে পড়লে আকাশের দিকে নিজ মাথা তুলে বলতেন—‘মহান আল্লাহ খুবই পবিত্র’। আর যখন তিনি আকুতি সহকারে দোয়া করতেন তখন বলতেন—‘হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী।’ (তিরমিজি ৩৪৩৬)।

আল্লাহতাআলা মুসলিম উম্মাহকে আকাশের দিকে তাকিয়ে তারই পবিত্রতা ও প্রশংসা করার তাওফিক দান করুন। ভয়াবহ বিপদ থেকে মুক্ত থাকতে হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এদিকে আল্লাহতাআলা মানুষকে ভালোবাসেন বলেই ক্ষমা চাইলে তিনি বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষকে ক্ষমা চাওয়ার অনেক দোয়া ও আমল শিখিয়েছেন।

এরমধ্যে ক্ষমা প্রার্থনার বিশেষ একটি দোয়াও শিখিয়েছেন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে এ দোয়ায় ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলেছিলেন।

আল্লাহর কাছে ক্ষমা পাওয়ার এই দোয়াটি হচ্ছে, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আউয়্যুন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফাফু আন্নি।’ অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল। ক্ষমা করে দিতে ভালোবাসেন। সুতরাং আমাকে ক্ষমা করে দিন। অনেকেই দোয়াটিকে শবেকদরের রাতের দোয়া হিসেবেই জানেন। কিন্তু প্রত্যেক রাতেই আল্লাহতাআলা বান্দাকে ক্ষমা করে দেয়ার আহ্বান জানান।

যে কেউ প্রতি রাতে মহান আল্লাহর কাছে নবিজির শেখানো দোয়ায় ক্ষমা চাইবে, মহান আল্লাহ ওই বান্দাকে ক্ষমা করে দেবেন।

সম্পাদক : জোবায়ের আহমেদ নবীন