শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫

রুদ্ধশ্বাস লড়াই শেষে সুপার ওভারে শ্রীলঙ্কাকে হারাল ভারত

রুদ্ধশ্বাস লড়াই শেষে সুপার ওভারে শ্রীলঙ্কাকে হারাল ভারত

এশিয়া কাপে নিয়মরক্ষার ম্যাচও পরিণত হলো টুর্নামেন্টের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে নির্ধারিত ২০ ওভারে উভয় দলই সমান ২০২ রান করে। ফলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে, যেখানে সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে জয় তুলে নেয় ভারত।

সুপার ওভারে শ্রীলঙ্কা ৪ বলে মাত্র ২ রানেই ২ উইকেট হারায়। ভারতের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় মাত্র ৩ রানের। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার করা প্রথম বলেই সূর্যকুমার যাদব কভার ড্রাইভে শুভমান গিলকে সঙ্গে নিয়ে তিন রান সম্পন্ন করেন। এর মাধ্যমে অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠলো ভারত।

টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ভারত ঝড়ো সূচনা পায় অভিষেক শর্মার ব্যাটে। ৩১ বলে ৬১ রান করে তিনি দলকে বড় সংগ্রহ গড়তে সহায়তা করেন। এরপর সঞ্জু স্যামসন (৩৯) ও তিলক ভার্মা (৪৯*) জুটি গড়ে ভারতের ইনিংস এগিয়ে নেন। শেষদিকে অক্ষর প্যাটেলের ২১ রানে ভর করে ভারত দাঁড় করায় ৫ উইকেটে ২০২ রান।


জবাবে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কার শুরুটা ভালো হয়নি। ওপেনার কুশল মেন্ডিস শূন্য রানে ফেরেন। তবে পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল পেরেরা গড়েন ১২৭ রানের জুটি। পেরেরা ৫৮ রানে আউট হলেও নিশাঙ্কা খেলেন দুর্দান্ত ১০৭ রানের ইনিংস—যা তার প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি এবং ভারতের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার যেকোনো ব্যাটারের প্রথম সেঞ্চুরি।


শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১২ রান, শ্রীলঙ্কা নিতে পারে ১১। ফলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে, যেখানে জয় নিশ্চিত করে ভারত।


এ ম্যাচে ভারতের পক্ষে পাঁচজন বোলার একটি করে উইকেট নেন। মূল পেসার জাসপ্রিত বুমরাহকে ফাইনালের আগে বিশ্রামে রাখা হয়। পরিসংখ্যান বলছে, টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কা ছয়বার সুপার ওভারে নেমে চারবারই হেরেছে, অন্যদিকে ভারত সমান সংখ্যক ম্যাচে ছয়বারই জয় পেয়েছে।

সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ