শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৫

আফগানিস্তানকে ৪ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ

আফগানিস্তানকে ৪ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ

আফগানিস্তানের ৯ উইকেটে ১৫১ রান তাড়া করে বাংলাদেশ ৮ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে জিতেছে। তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেনের উদ্বোধনী জুটিতেই উঠেছে ১০৯ রান। দুজনই করেছেন ফিফটি।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) শারজাহতে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে রশিদের স্পিন–ঘূর্ণিতে এক পর্যায়ে ১১৮/৬ পরিণত হয় বাংলাদেশের স্কোর। রশিদ টানা দুই ওভারে দুটি করে মোট ৪ উইকেট নেন। তবে নুরুল হাসান ও রিশাদ হোসেনের অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেট জুটি ১৮ বলে ৩৫ রান তুলে বাংলাদেশকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়েছে।

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে খেলাটা শেষ ওভারে নিতে দিলেন না নুরুল–রিশাদ। ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে এসেছিলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। প্রথম বল লং অন দিয়ে, দ্বিতীয় বলে থার্ড ম্যান দিয়ে ছক্কা মেরেছেন নুরুল। তৃতীয় বলে হয়েছে সিঙ্গেল। চতুর্থ বলে রিশাদের শট টপ–এজড হয়ে উইকেটকিপারের মাথার ওপর দিয়ে বাউন্ডারি। ইনিংসের ৮ বল বাকি থাকতেই বাংলাদেশ পৌঁছে গেছে ১৫৩ রানে, ৬ উইকেট হারিয়েই।


প্রথম ১১ ওভারে বিনা উইকেটে আসে ১০৯ রান। মনে হচ্ছিল, ১৫২ রানের লক্ষ্য ছুঁতে খুব একটা কষ্ট হবে না বাংলাদেশ দলের। কিন্তু ওপেনারদের বিদায়ের পর যেন ভেঙে পড়ে গোটা ইনিংস। তবে মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন টপ অর্ডারের ছয় ব্যাটার, শেষ পর্যন্ত মনে হচ্ছিল ম্যাচটি বাংলাদেশ হেরেই যাবে। তবে শেষ পর্যন্ত রিশাদ আর নুুরুলের ব্যাটে চড়ে ম্যাচটি জিতে নেয় বাংলাদেশ। তারা দুজন অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেট জুটি ১৮ বলে ৩৫ রান তুলে নেন। এতে বাংলাদেশের জন্য তিন ম্যাচ টি–টোয়েন্টি সিরিজের শুরুটা হলো জয় দিয়ে। সিরিজের দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টি শুক্রবার।


এর আাগে, বাংলাদেশকে জয়ী হবার জন্য ১৫২ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। টস জিতে ব্যাট করতে নামা আফগানিস্তান শুরুর পাওয়ার প্লের মধ্যে চার উইকেট হারায়। নাসুম আহমেদের হাত ধরে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর ৪০ রানের মধ্যে আরও দুটি উইকেট পড়ে। এসময় সর্বোচ্চ ১৫ রান করেন জাদরান। তানজিম সাকিবের হাতে আউট হন অটল (১০ রান)। ডারউইশ রান নিতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝির শিকার হন এবং মোহাম্মদ ইশাক মাত্র ১ রান করে ফেরেন।


কিন্তু গুরবাজ ও আজমতউল্লাহ কিছুটা চাপ সামাল দিতে সক্ষম হন। তবে ওমরজাই ১৮ রান করে তানজিমের ক্যাচে আউট হন। ৫ উইকেট হারানোর পরও গুরবাজ দলের সবচেয়ে বড়ো ভরসা ছিলেন, তবে এদিন তিনি বিস্ফোরক ব্যাটিং করতে পারেননি। সর্বোচ্চ রান করেন ৪০ রান করে, তানজিম সাকিবের ওভারে কাট করতে গিয়ে রিশাদ হোসেনের হাতে ধরা পড়েন।


ম্যাচের ১৮তম ওভারের প্রথম চার বলেই মোহাম্মদ নবি তিনটি ছক্কা মেরেছিলেন। এরপর তাসকিন আহমেদের পঞ্চম বলটি পিঠিয়ে দিচ্ছিলেন, কিন্তু বলটি উঠে গিয়ে রিশাদ হোসেনের হাতে ধরা পড়ে। নবি আউট হওয়ার আগে আফগানিস্তান ১২৫ রানের দিকে গিয়েছিল এবং তারা সম্ভবত ১৬০ রানের আশায় ছিল। তবে তার পরের ব্যাটসম্যানরা কোনো বড়ো অবদান রাখতে পারলো না, ফলে দল ১৫১ রানে অলআউট হয়।


মোহাম্মদ নবি ২৫ বল খেলে তিন ছক্কা ও মোট চারটি ছক্কার সাহায্যে ৩৮ রান করেন। রশিদ খান মাত্র ৪ রান করে মোস্তাফিজুর রহমানের স্লোয়ারে আউট হন। শেষদিকে শরাফুদ্দিন আশরাফ ১১ বলে ১৬ রান যোগ করে আফগানিস্তানকে ১৫১ রানের ঘরে পৌঁছে দেন।

সম্পাদক : অপূর্ব আহমেদ