ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আসছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। করপোরেট পেশাজীবী থেকে শুরু করে দিনমজুর-রিকশাচালকসহ নানা বয়স, শ্রেণি, পেশার মানুষ নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে হাজির হয়েছেন এখানে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে টিএসসি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মানুষ ট্রাক, পিকআপ, ভ্যান, রিকশা, প্রাইভেটকার ভর্তি করে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আসছেন।
একের পর এক প্রাইভেট কার, ট্রাক, ঠেলাগাড়ি থেকে নামানো হচ্ছে শুকনো খাবার, খেজুর, ওষুধ, স্যানিটারি ন্যাপকিন, খাবার পানিসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
টিএসসিতে প্রবেশপথের পাশে গণ ত্রাণ সংগ্রহ বুথ বসানো হয়েছে। সেখানে তালিকাভুক্ত করে ত্রাণ রাখা হচ্ছে টিএসসির অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া কক্ষে। সেখানে প্যাকেজিং করে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায়। এগুলো কাভার্ড ভ্যানে করে বন্যা কবলিত এলাকায় পৌঁছানো হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ব্যক্তি উদ্যোগে অনেকে আসছেন আবার অনেক প্রতিষ্ঠান থেকেও টাকা ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কার্টনে কার্টনে পাঠানো হচ্ছে। এত জিনিস আমাদের নিজেদেরও লোকবল বাড়াতে হচ্ছে। ট্রাকে, ভ্যানে, ঠেলাগাড়িতে জিনিস আসছে।
শিক্ষার্থী আরও বলেন, আজকে সকাল থেকেই অসংখ্য মানুষ ত্রাণ সহায়তা ও নগদ টাকা নিয়ে আসছেন। আমরা অনুমান করছি আজকে রাতে শুধু নগদ অর্থের পরিমাণই ৫০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। এত জিনিস আমাদের নিজেদেরও লোকবল বাড়াতে হচ্ছে।
এক ব্যবসায়ী তিন পিকআপ ভর্তি করে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে ছাত্র সমাজই দেশকে পথ দেখিয়েছে। তাদের হাত ধরেই আমরা যে কোনো রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রুখে দেবো। আমরা সবাই এক থাকলে কোনো শত্রুই আমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। সামর্থ্য অনুযায়ী আমি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। আমি চাই দেশের প্রতিটি মানুষ এতে অংশগ্রহণ করুক।
//এলএইচ//