মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল শনিবার বলেছেন, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের নেতারা তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছেন। সীমান্তে তিন দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ট্রাম্প দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন।
থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, থাইল্যান্ড নীতিগতভাবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত তবে কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে সৎ অভিপ্রায় দেখতে চায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিকমাধ্যমে জানান, থাইল্যান্ড আর কম্বোডিয়া দুই দেশই শান্তি আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত ও ফুমথামের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি সংঘাত বন্ধ না হয়, তাহলে কোনো দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তি হবে না। উভয় পক্ষই তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ও শান্তি চেয়েছে।
যদিও ট্রাম্পের প্রস্তাবের আগে, কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল থাইল্যান্ড। জাতিসংঘে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে ব্যাংককে শান্তির প্রস্তাব পাঠিয়েছে নমপেন। বলছে, সংঘর্ষের কোনো মানে নেই, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব। এ প্রস্তাবের জবাবে থাইল্যান্ড সাফ জানিয়ে দেয়, কম্বোডিয়ার আন্তরিকতা প্রমাণ করলেই হবে শান্তির আলোচনা।
এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই সংঘাতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং উভয় পক্ষকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার ও আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন।