পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে ঘরমুখী রাজধানী ঢাকায় বসবাসকারী কোটি মানুষ। সড়ক, আকাশ ও নৌপথে বাড়ির পথ ধরেছেন তারা। মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাটে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ দেখা গেছে। যাত্রীদের ভিড়ে ঘাট এলাকায় যেন পা রাখার জো নেই।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কাটা লাইনের যাত্রীদের চাপ সবচেয়ে বেশি। ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীরা লঞ্চ ও ফেরিতে গাদাগাদি করে নদী পারাপার হচ্ছেন। কার আগে কে ফেরিতে উঠতে পারেন, চলছে প্রতিযোগিতা।
এদিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কেও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজটের দীর্ঘ সারি চরের ডাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা বিস্তৃত হয়ে পড়েছে। এ সময় ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীদেরকে যানজটে পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থেকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
ঢাকার গাবতলী থেকে পাটুরিয়া ঘাটে আসতে রাস্তায় প্রায় আড়াই তিন ঘণ্টা করে কেটে যাচ্ছে রাস্তায়। ঢাকা থেকে কুষ্টিয়াগামী আমজাদ হোসেন বলেন, আমি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করি। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি। ভোর পাঁচটার দিকে প্রাইভেটকারে রওনা হয়েছি। কিন্তু সাভারের পর থেকে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত আসতে প্রায় ৩ ঘণ্টা কেটে গেছে রাস্তায়। এবার ঘাটে এসে ফেরির জন্যও অপেক্ষা করতে হচ্ছে। কখন বাড়ি পৌঁছাতে পারব জানি না।
ঢাকার গাবতলী থেকে ছেড়ে আসা কুষ্টিয়াগামী দিগন্ত পরিবহনের চালক আমিন শেখ বলেন, সকাল ১০টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটে এসে যানজটে পড়েছি। দুপুর একটায়ও ফেরিতে উঠতে পারিনি।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পাটুরিয়া ঘাটে ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীদের ঢলের কারণে ছোট-বড় ১৬টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তবে দুপুরের পর থেকে ঘাটে যাত্রীদের ও যানবাহনের চাপ আরও বাড়ার আশংকা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসির) আরিচা অফিসের এজিএম আব্দুস ছালাম বলেন, আজ সকাল ঈদে ঘরমুখো যাত্রী ও প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন ছোট গাড়ির চাপ অনেক বেড়েছে। বর্তমানে এ নৌ-রুটে ১৬টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদেরকে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানোর লক্ষ্যে পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।