প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে প্রতারণার নতুন নতুন কৌশল। এখন আপনি বুঝে ওঠার আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারেন। তাই সাইবার প্রতারণা থেকে বাঁচতে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। সম্প্রতি বাড়ছে এক অভিনব প্রতারণার ধরন—‘স্পুফিং’।
এতে প্রতারকরা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম বা পরিচয় ব্যবহার করে আপনাকে ফাঁদে ফেলতে চায়।
কিভাবে ঘটে এই প্রতারণা?
ধরুন, আপনি ফেসবুকের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন। ‘ফরগট পাসওয়ার্ড’ অপশনে ক্লিক করার পর ফেসবুক জানায় যে, একটি ইমেইল পাঠানো হয়েছে। আপনি ইনবক্সে গিয়ে দেখেন—দুটি ই-মেইল এসেছে।
না ভেবেই আপনি শেষেরটিতে ক্লিক করলেন। সব কিছুই স্বাভাবিক মনে হলেও কিছুক্ষণ পর টের পেলেন, আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি আর আপনার নিয়ন্ত্রণে নেই!
আপনার ভুলটা কোথায় হয়েছিল?
যে ই-মেইলটি আপনি খুলেছিলেন, সেটি আসলে ফেসবুকের ছিল না। বরং তা ছিল দেখতে ফেসবুকের মতোই এক ভুয়া প্রতিষ্ঠানের—‘Failbook’। ই-মেইলের ডিজাইন, লোগো, রঙ—সবই ছিল হুবহু ফেসবুকের মতো।
এটাই হচ্ছে ‘স্পুফিং’—যেখানে প্রতারকরা অন্যের পরিচয় নকল করে আপনাকে ধোঁকা দেয়।
কিভাবে কাজ করে এই স্পুফিং?
সাধারণত একটি ভুয়া ইমেইল পাঠানো হয়, যাতে দাবি করা হয় এটি কোনো পরিচিত প্রতিষ্ঠান থেকে এসেছে (যেমন: ফেসবুক, গুগল, ব্যাংক ইত্যাদি)। ই-মেইলে থাকে একটি লিংক, যা দেখতে আসল ওয়েবসাইটের মতো। আপনি সেই লিংকে ক্লিক করে লগইন করলে আপনার ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড চলে যায় সরাসরি প্রতারকের হাতে।
প্রতারকদের হাত থেকে বাঁচবেন কিভাবে?
১. সন্দেহজনক ই-মেইল পেলেই ভালো করে প্রেরকের ঠিকানা (email address) পরীক্ষা করুন।
২. লিংকে ক্লিক না করে সরাসরি ব্রাউজারে গিয়ে ওয়েবসাইট খুলুন।
৩. কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করার আগে নিশ্চিত হোন, আপনি সঠিক ওয়েবসাইটে আছেন।
৪. Two-Factor Authentication (2FA) চালু রাখুন।
৫. আপনার অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক কিছু দেখলে দ্রুত পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।