গত কয়েকদিন ধরে বাজারে বেশকিছু সবজির দাম ওঠানামা করছে। তবে অধিকাংশ সবজি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। এতে সবজির বাজারে স্বস্বি পাচ্ছে না ভোক্তারা। তবে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম কিছুটা কম। অপরদিকে এখনো চড়া দামে বাজারে চাল পেঁয়াজ ও আলু বিক্রি হচ্ছে।
রোববার (২৫ আগস্ট) শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার বাইপাইল,ভলিবদ্র,শ্রীপুর,ভাদাইল বাজারসহ অন্যান্য বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
আশুলিয়ার বাইপাইল কাঁচাবাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, সবজির দাম যেগুলো বাড়ার, স্বাভাবিকভাবেই সেগুলো বেড়েছে। বৃষ্টি ও বন্যার কারণে সবজির দাম কিছুটা বেশিই থাকে। ইতোমধ্যে একদিনের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম কমেছে ৮০ টাকা। আজ কেজি প্রতি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেগুন মান ভেদে ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ, চিচিঙ্গা, পটোল, ধুন্দল, পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাকা টমেটোর কেজি প্রকারভেদে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা এবং গাজরের কেজি ৯০ টাকা। লেবুর হালি ২০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ৬০ টাকা, কলার হালি ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
বাজারে বাজার করতে আসা আজিজুল হক বলেন, বাজারে আগের দামেই সবজি বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু এ দাম আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। বাজারের প্রতিদিনই কোনো না কোন জিনিসের দাম বাড়ছে। ফলে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষেরা বিপাকে পড়েছে। এদিন ব্রয়লার মুরগির প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৪০ টাকা থেকে ৫৭০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ডিম ডজন প্রতি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজার ভেদে রয়েছে দামের পার্থক্য।
ভাদাইল বাজার মুরগি ব্যবসায়ী রনি আহমেদ বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যার কারণে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকলেও রাস্ত-ঘাটে চাঁদাবাজি নেই। তাছাড়া পাইকারি বাজারে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত মনিটরিং এর ফলে পাইকারি ও খুচরা বাজারে আগের দামেই মুরগী বিক্রি হচ্ছে। নিত্যপণ্যের বিভিন্ন বাজারে গরুর মাংসের কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, ছাগলের মাংসের কেজি প্রতি ১ হাজার টাকা এবং খাসির থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিন মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেড় কেজি ওজনের রুই মাছ প্রতিকেজি ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকায়, আড়াই কেজি ওজনের রুই মাছ প্রতিকেজি ৪০০ থেকে ৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম কমে প্রতিকেজি পাঙ্গাশ সাইজভেদে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় এবং তেলাপিয়া মাছ প্রতিকেজি ২২০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগের মতো উচ্চ দরেই বিক্রি হচ্ছে চাল পেঁয়াজ আলু। চালের বাজার ঘুরে দেখা যায় বাজারে মিনিকেট ৭২ টাকা, আটাশ চাল ৫৮ টাকা, মোটা চাল ৫২ টাকায়, লাল বোরোধানের চাল ৯০ টাকা, সুগন্ধি চিনিগুঁড়া পোলার চাল ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। বাজারে পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও আলুর দাম কিছুটা কমেছে। প্রতিকেজি ৫ টাকা কমে মান ভেদে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার কেজি প্রতি দেশি পেঁয়াজ এখন ১১০-১২০ টাকা, রসুন ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।